বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
 পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার : এম আব্দুল্লাহ। কালের খবর সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে শাহজাদপুরে মানববন্ধন। কালের খবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে : ইউএনও মনজুর আলম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। কালের খবর ‘দেশ স্বাধীনের পর তৈরি সংবিধানে কোনো জাতির পিতা ছিল না’ : আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল। কালের খবর দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে খরচ কমানোর ২৭ উপায়!। কালের খবর ওলামাদের মধ্যে রুহানী ঐক্য প্রয়োজন : জামায়াত আমির। কালের খবর আ.লীগ নেতা সুমন খান গ্রেফতার। কালের খবর ৭ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কালের খবর নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান : ওয়াদুদ ভুইয়ার। কালের খবর
জ্বীন তাড়াতে প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা, কবিরাজ দম্পতি গ্রেফতার। কালের খবর

জ্বীন তাড়াতে প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা, কবিরাজ দম্পতি গ্রেফতার। কালের খবর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর :: সিদ্ধিরগঞ্জে জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ কবিরাজ দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহনাজ আক্তার শিখা (২৫) ঢাকার সাদ্দাম মার্কেট এলাকার শাহ আলমের মেয়ে।

এ ঘটনার কবিরাজ ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিনকে আটক করেছে পুলিশ। ফারুক সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি চৌধুরীপাড়া বিল্লাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহত শিখার মা সুরাইয়া বেগম জানান, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ মিলে কবিরাজ ফারুক হোসেনের। মেয়েকে ভালো করার জন্য কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন দম্পতির সাথে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। কবিরাজ অগ্রিম সাত হাজার টাকা নেয়। প্রথমে ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে চলে চিকিৎসা।

এক পর্যায়ে কবিরাজ দম্পতি বলে, আপনার মেয়ের ওপর থেকে জ্বীনের খারাপ আছর বিদায় করতে হলে তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে হবে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি চৌধুরীপাড়ায় কবিরাজের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হয় শিখাকে। সেখানে কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন চিকিৎসার নামে শুরু করে শারীরিক নির্যাতন। শিখার আর্তচিৎকারেও থামেনি তাদের নির্যাতন।

মেয়ের চিৎকার দেখে প্রতিবাদ করলে তারা বলে, আমরা তো আপনার মেয়েকে মারছি না। মারছি তার সাথে থাকা খারাপ জ্বীনকে। আর চিৎকার তো সে করছে না, করছে ওই খারাপ জ্বীন। আপনার সহ্য না হলে পাশের ঘরে গিয়ে বসে থাকেন। একপর্যায়ে কবিরাজ ফারুক ও তার স্ত্রী জেসমিন শিখার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে বুকের ওপর উঠে আঘাত করতে থাকে। মুখে কাপড় ঢুকিয়ে গলা চেপে ধরে রাখে। এভাবে চলে দুদিন।

সুরাইয়া বেগম জানান, বুধবার দুপুরে মেয়েকে কবিরাজের বাড়ি রেখে সাদ্দাম মার্কেট নিজে বাড়িতে যাই ব্যক্তিগত কাজে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় কবিরাজ ফারুক ফোন করে বলে আপনার মেয়েকে খারাপ জ্বীন টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি তাড়াতাড়ি আসেন। এখবর শুনে কবিরাজের বাড়িতে এসে দেখি মেয়েকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমাদের ব্যক্তিগত ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে দেখে শিখা মারা গেছে কয়েক ঘন্টা আগে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় শিখা নামের এক তরুণীর মুত্যৃ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে শিখার লাশ উদ্ধার করেছি। কবিরাজ দম্পতিকে আটক করেছি। শিখার মা এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা দায়ের করেছেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com